গণেরিয়া রোগটি ‘দ্য ক্ল্যাপ’ নামেও পরিচিত, এটি এক ধরনের ‘সেক্সুয়ালী ট্র্যানোমিটেড ইনফেকশন (STI) বা যৌনবাহিত রোগ।সংক্রমণের প্রথম দিকে গনোরিয়া রোগের লক্ষণ বিশেষ একটা লক্ষ্য করা যায় না তবে কিছুদিন পর গলা ব্যাথা ও মূত্রত্যাগের সময় জ্বালা বা ব্যথার মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। এই রোগে পুরুষ এবং স্ত্রী দুজনকেই ফল ভোগ করতে হয়।
রোগটি ‘নেইসেসরিয়া গণোরিয়া (Neisseria gonorrhoeae) নামক ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সংঘটিত হয়।এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের উষ্ণ ও আদ্র অংশকে বেছে নেয়, যেমন-
আগেই বলা হয়েছে এটি একটি যৌনবাহিত রোগ, এটি সাধারণত অসুরক্ষিত যৌন মিলন, ওরাল সেক্স অথবা সিরিঞ্জ বা অন্য কোনও মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যাক্তির রক্ত সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করার মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়।
অশিক্ষা ও অসচেতনতাও এই ধরনের যৌনবাহিত রোগের বিস্তারলাভের একটি কারণ। দেখা গেছে ভারত তথা বাংলাদেশের মতন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে আজও যৌন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে কুণ্ঠা বোধ করেন, সমস্যা থাকলেও অলোচনা করেন না উপরন্ত তিনি রোগটি বয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি অন্যদেরও সংক্রমিত করতে থাকেন।
সংক্রমণের ২-১৪ দিনের মধ্যেই রোগটির লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এই রোগটি কোনও রকম লক্ষণ সৃষ্টি করে না।তবে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি লক্ষ্য করা যায়-
পুরুষদের ক্ষেত্রে
মহিলাদের ক্ষেত্রে
দীর্ঘদিন ধরে এই রোগের চিকিৎসা না হলে রোগটি জটিল ও দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এমনকি প্রাণঘাতীও হতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ব্যাকটেরিয়াটি জনন অঙ্গের সমূহ ক্ষতি করে। জরায়ু, ফ্যালপিয়ান টিউব, ওভারি একত্রে আক্রান্ত হলে তলপেটে তীব্র ব্যাথা হয় এবং অনেক সময়ই ফ্যালপিয়ান টিউব দুটি ব্লক হয়ে যায়, ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে সমস্যার সৃষ্টি করে।
পুরুষদের ক্ষেত্রেও বন্ধাত্বর সৃষ্টি করতে পারে।
কোনও মহিলা যদি প্রেগন্যান্ট থাকাকালীন সময়ে এই রোগে আক্রান্ত হন তাহলে ডেলিভারির সময় তার সন্তানও এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
এই ব্যাকটেরিয়া রক্তে প্রবেশ করলে বাতের ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস, মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডে প্রদাহ এবং হার্ট-এর ভালভ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এই রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকে বেশ ভাল সুফল পাওয়া যায়।২০১৬ সাল থেকে ইনজেকশনের মাধ্যমে ceftriaxone এবং ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের মাধ্যমে অ্যাজিথ্রোমাইন (azithromycin) ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না, সেক্ষেত্রে অন্য চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। রোগটি যদি অ্যাডভান্স স্টেজে ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে চিকিৎসা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে এবং রোগীর মৃত্যু ঘটে।
কাকে বলে ব্রঙ্কাইটিস? ফুসফুসের দু’টি ভাগ রয়েছে। একটি অংশে বাতাসের অক্সিজেন রক্তে মেশে। এই অংশটির…
ডায়াবেটিস এমন একটি অসুখ যা শরীরের সব অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে…
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই যে চিকিৎসা করাতে হয় এমন নয়। একমাত্র যখন ইউরিক অ্যাসিড থেকে…
পাড়ার রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিলেন বিধুবাবু। হঠাৎ পাড়ার কুকুর কালুর লেজে দিলেন পা! কালুর কী…
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী? হার্টের চারটি কুঠুরি বা চেম্বার থাকে। ওপরের দু’টি চেম্বার এবং নীচের দু’টি…
ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে আগে শরীরে কী কী সঙ্কেত আসে? ব্রেন স্ট্রোক কিন্তু একটা ভয়াবহ…
This website uses cookies.
Read More
Leave a Comment