বিসিজি, ওরাল পোলিও ড্রপ, হেপাটাইটিস বি : এই তিনটি টীকা জন্মের সময়ে শিশুকে দেওয়া হয় ।
যে কোনো টীকা দেওয়ার পরেই জ্বর আসতে পারে বা টীকাকরণের স্থানে ব্যথা হতে পারে । তবে 6 সপ্তাহ, 10 সপ্তাহ ও 14 সপ্তাহে পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন দেওয়ার পর জ্বর আসার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।
টীকার স্থান যদি লাল হয়ে ফুলে ওঠে, সেখানে ঠান্ডা সেঁক দিন । কোনো মলম লাগাবেন না, মালিশ করবেন না। প্যারাসিটামল ড্রপ বা সিরাপ দিতে হবে আপনার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ।
টীকা করণের পরে সিরিয়াস এডভার্স এফেক্ট প্রায় দেখাই যায় না । তবু যদি জ্বর, ব্যথা, অতিরিক্ত কান্না, খিঁচুনি, পা তুলতে না পারা, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া এগুলি হয়, সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে নিকটবর্তী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে ।
পিসিভি ( নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন), ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন, টাইফয়েড ভ্যাকসিন, এম এম আর ভ্যাকসিন, হেপাটাইটিস এ ভ্যাকসিন, ভ্যারিসেলা ( চিকেন পক্স) ভ্যাকসিন, এইচ পি ভি ভ্যাকসিন ( হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) নেওয়া জরুরি ।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন প্রথম দেওয়া হয় শিশুর 6 মাস বয়সে । এর একমাস পরে, অর্থাৎ সাত মাস বয়সে দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হয় । তারপর থেকে প্রতি বছর একটি করে ডোজ নিতে হবে । এটি নেওয়ার জন্য বয়সের কোনো ঊর্দ্ধসীমা নেই।
না, টাইফয়েড কঞ্জুগেট ভ্যাকসিন 6 মাসের বেশি বয়সের যে কোনো শিশুকে দেওয়া যেতে পারে । একটি ডোজ ই যথেষ্ট ।
জন্মের সময়ে হেপাটাইটিস বি টিকা দেওয়া হয় । এক বছর বয়সে হেপাটাইটিস এ টিকা দেওয়া হয় ।দুটি সম্পূর্ণ আলাদা ।
ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট সময় বা শেডিউল অনুসারে দেওয়াই উচিত । দেরি হয়ে থাকলে যত শীঘ্র সম্ভব নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা শিশু বিশেষজ্ঞ র সাথে যোগাযোগ করুন । বেশিরভাগ টিকাই দেরি হলেও দেওয়া যায় । তবে কোনো কোনো টিকা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই দিতে হয় । যেমন, রোটাভাইরাস ভ্যাকসিন বা নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন । খুব দেরি হলে এগুলি দেওয়া যায় না ।
বাড়িতে যদি পোষা কুকুর থাকে, শে আপনার শিশুকে না কামড়ালেও, শিশুকে দুটি ডোজ এন্টি রেবিজ ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত । একে বলে প্রি এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস । তবে এর পরেও যদি বাচ্চাকে কুকুর কামড়ায় , তাহলে আবার দুটি ডোজ নিতে হবে ।
যদি রেবিজের টিকা নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে কুকুর কামড়ায়, তাহলে আর নিতে হবে না । কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলে আবার দুটো ডোজ নিতে হবে ।
না, শিশুর যদি কোনো কঠিন অসুখ থেকে থাকে, যেমন হার্টের অসুখ, কিডনির অসুখ, ডায়াবিটিস, এইচ আই ভি, বা যদি স্প্লিনের অপারেশন হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই নিতে হবে । এবং এর সাথে আরও কিছু টিকা নিতে হবে । এ বিষয়ে আপনার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করুন ।
মেয়েদের যোনিতে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ইনফেকশন থাকলে জরায়ুর ক্যান্সারের (সার্ভাইকাল ক্যান্সার) সম্ভাবনা বাড়ে । এই হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা আছে । 9 বছরের বেশি মেয়েদের দেওয়া উচিত ।
কাকে বলে ব্রঙ্কাইটিস? ফুসফুসের দু’টি ভাগ রয়েছে। একটি অংশে বাতাসের অক্সিজেন রক্তে মেশে। এই অংশটির…
ডায়াবেটিস এমন একটি অসুখ যা শরীরের সব অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে…
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই যে চিকিৎসা করাতে হয় এমন নয়। একমাত্র যখন ইউরিক অ্যাসিড থেকে…
পাড়ার রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিলেন বিধুবাবু। হঠাৎ পাড়ার কুকুর কালুর লেজে দিলেন পা! কালুর কী…
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী? হার্টের চারটি কুঠুরি বা চেম্বার থাকে। ওপরের দু’টি চেম্বার এবং নীচের দু’টি…
ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে আগে শরীরে কী কী সঙ্কেত আসে? ব্রেন স্ট্রোক কিন্তু একটা ভয়াবহ…
This website uses cookies.
Read More
Leave a Comment