শিশুদের ডায়াপার র‍্যাশ বা ন্যাপি র‍্যাশ থেকে বাঁচতে কি করবেন ?

Published by

ডায়াপার র‍্যাশ, বর্তমান সময়ে সদ্যোজাত শিশুদের সমস্যা গুলির মধ্যে অন্যতম । হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে এ সমস্যা থাকে না এটি শুরু হয় হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌছনোর পর। অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা বাড়িতে গিয়ে সদ্যজাত শিশুর যত্ন নিতে ন্যাপি ব্যাবহার করেন এবং প্রায় 24 ঘণ্টাই ন্যাপি  পরিয়ে রাখেন । ন্যাপি র‍্যাশের এটি একটি অন্যতম কারণ ।

 এখনকার ইয়ং কাপেলরা নিজেদের অফিসের কাজে অথবা বাড়ির কাজে সারাদিন ব্যাস্ত থাকেন। সন্তানের যত্নের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করাটা মুস্কিল হয়ে পড়ে আর এই অসুবিধে থেকে রেহাই পেতেই অনেক সময় বাবা-মা তাদের সন্তানকে দীর্ঘ সময় ন্যাপি পরিয়ে রাখেন “। চিকিৎসকরা সর্বদাই সদ্যজাত বাচ্চাদের দীর্ঘসময় ন্যাপি ব্যাবহারে না করে থাকেন কারণ দীর্ঘ সময়ে ন্যাপি ব্যাবহারে সদ্যজাত শিশুর নরম ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর এবং এর থেকে  হতে পারে ন্যাপি র‍্যাশ এবং যেটি একসময় মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে।

 যদিও চিকিৎসকরা ন্যাপি ব্যাবহার করতে সম্পূর্ণ বারণ করছেন না। তবে  কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যাবহার করতে বলছেন

১।  সকালথেকে ন্যাপি ব্যাবহার করবেন না, রাত্রি বেলায় কিছুটা সময় ন্যাপি ব্যাবহার করুন। যেহেতু রাত্রি বেলার দিকে সমস্যা অনেক বেশি হয়। বাচ্চার মল-মূত্রের সময় অভিভাবকদেরও সমস্যা হয়।

২। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করে দেখে নিন ন্যাপি ভিজে আছে কি না। যদি ভিজে থাকে তাহলে খুলে ফেলুন।

৩। যদি ন্যাপির পরিবর্তে কাপড় ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে সেটিও ভিজে থাকলে পাল্টে দিন। ভিজে অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ কখনওই রাখবেন না ।

যে সব অভিভাবকরা ২৪ ঘণ্টা ন্যাপি ব্যাবহার করেন তাদের বাচ্চাদের ন্যাপি ব্যাবহারের জায়গায় লাল-লাল র‍্যাশ  মত হয়। এই  ন্যাপি র‍্যাশ ক্রমশ বাড়তে-বাড়তে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ফলে বাচ্চা বিরক্ত বোধ করে এবং অবিরত কাঁদতে থাকে । এমন অবস্থায় বাচ্চা যখন মল, মূত্র ত্যাগ করে তখন সেটি ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের সঙ্গে বারংবার সংযোগ ঘটে ফলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা প্রবল হতে থাকে ।

ডায়াপার র‍্যাশ থেকে বাঁচতে কি করবেন ?

 ন্যাপি র‍্যাশ বা ডায়াপার র‍্যাশ একবার চোখে পড়লে কাপড় বা ন্যাপির  ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন কিন্তু তার পরেও র‍্যাশ হলে, বেশ  কিছু ক্রিম আছে যেমন Happy nap, Ezinapi ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন। এরপরও সমস্যা না মিটলে অবশ্যই একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন ।  

Dhruba Biswas

Hi, I am Dhruba and I’m a Health Blogger. My goal is to make everyone aware of physical and mental health as well as new methods and technologies in the field of medical science.

Leave a Comment
Share
Published by

Recent Posts

ব্রঙ্কাইটিস: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

কাকে বলে ব্রঙ্কাইটিস? ফুসফুসের দু’টি ভাগ রয়েছে। একটি অংশে বাতাসের অক্সিজেন রক্তে মেশে। এই অংশটির…

4 months ago

ডায়াবেটিস রোগীকে কখন দিতে হয় ইনসুলিন?

ডায়াবেটিস এমন একটি অসুখ যা শরীরের সব অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে…

4 months ago

ইউরিক অ্যাসিড কমানোর উপায়

সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই যে চিকিৎসা করাতে হয় এমন নয়। একমাত্র যখন ইউরিক অ্যাসিড থেকে…

4 months ago

কুকুরে কামড়ালে করণীয় কি

পাড়ার রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিলেন বিধুবাবু। হঠাৎ পাড়ার কুকুর কালুর লেজে দিলেন পা! কালুর কী…

4 months ago

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কী করণীয়

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী? হার্টের চারটি কুঠুরি বা চেম্বার থাকে। ওপরের দু’টি চেম্বার এবং নীচের দু’টি…

4 months ago

ব্রেন স্ট্রোক: এই লক্ষণগুলি থাকলে সতর্ক থাকুন

ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে আগে শরীরে কী কী সঙ্কেত আসে? ব্রেন স্ট্রোক কিন্তু একটা ভয়াবহ…

4 months ago