হাইপোথাইরয়েডিজম হল এমন একটি শারীরিক অবস্থা যখন আমাদের দেহ পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন করতে পারে না । থাইরয়েড হরমোনগুলি – বৃদ্ধি, কোষ মেরামত এবং বিপাক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ।যে কারণে হাইপোথাইরয়েডিজম যুক্ত ব্যক্তিদের বৃদ্ধি বিপাক এবং অন্যান শারীরিক প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয় । ফলস্বরুপ এদের মধ্যে ক্লান্তি, চুল পড়া , ওজন বৃদ্ধি , শারীরিক দুর্বলতা এবং ডিপ্রেশন এর লক্ষণ দেখা যায় ।
হাইপোথাইরয়েডিজম সাধারনত বয়সের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত, দেখা গেছে বেশির ভাগ ষাটোর্ধ বয়স্ক ব্যাক্তিরাই এর শিকার হন । আমেরিকান থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনের এর তথ্যানুযায়ী পুরুষ দের তুলনায় মহিলারাই এই সমস্যার শিকার হন এবং প্রত্যেক আট জন মহিলার মধ্যে এক জন হাইপোথাইরয়েডিজম আক্রান্ত হবার সম্ভবনা বেশি।
হাইপোথাইরয়েডিজম সাধারনত থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ “থাইরয়েডাইটিস” এর কারনে হয় । থাইরয়েডাইটিস একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার , এটি শরীরে এমন অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা থাইরয়েড গ্রন্থিকে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে দেয় । হাইপোথাইরয়েডিজমের অন্যান্য কারন গুলো হল-
হরমোন এবং অন্যান্য কারনের উপর নির্ভর করে হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ ব্যক্তি বিশেষ ভিন্ন হতে পারে , কিছু সাধারন লক্ষণ গুলি হল –
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে
কিশোর কিশোরীদের ক্ষেত্রে
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
হাইপোথাইরয়েডিজমের কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এর লক্ষণ গুলো প্রশমিত করা যায় । গর্ভাবস্থার পরে থাইরয়েডাইটিস এবং ভাইরাল থাইরয়েডাইটিস জনিত হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত রোগী ছাড়া বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এই অস্বাভাবিক অবস্থা সারাজীবন থাকে । ডাক্তার সাধারনত প্রথমে রোগীকে থাইরক্সিন (T4) এবং থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH) টেস্টের কথা বলেন এবং এর রিপোর্ট অনুযায়ী রোগীর অসুধের ব্যবস্থা করেন । কখনো কখনো হাইপোথাইরয়েডিজম মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে এবং রোগীর থাইরক্সিন ডোজ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগী যদি প্রতিদিন ওষুধ নেয় এবং শরীরে থাইরক্সিন এর মাত্রা ধরে রাখতে পারে তাহলে লক্ষণ গুলি অদৃশ্য হয়ে থাকবে ।
ওষুধের পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী যে সব খাবার গ্রহন করা যেতে পারে
বিশেষজ্ঞদের মতে আয়োডিন, সেলেনিয়াম এবং দস্তা হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্তদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। যদি কোনও চিকিৎসক আপনাকে সেগুলি গ্রহণের পরামর্শ না দেয় তবে আয়োডিন এবং সেলেনিয়াম পরিপূরকগুলি এড়িয়ে যাওয়া উচিত ।
সর্বশেষে এটাই বলব যেহেতু হাইপোথাইরয়েডিজমে সম্পূর্ণ সুস্থতা লাভ করা সম্ভব নয় সেহেতু একজন চিকিৎসকের অধিনে থেকে তার পরামর্শ অনুযায়ী থাইরয়েড হরমোন কে নিয়ন্ত্রিত ভাবে পরিচালনা করাই হল সুস্থ থাকার সঠিক উপায় ।
কাকে বলে ব্রঙ্কাইটিস? ফুসফুসের দু’টি ভাগ রয়েছে। একটি অংশে বাতাসের অক্সিজেন রক্তে মেশে। এই অংশটির…
ডায়াবেটিস এমন একটি অসুখ যা শরীরের সব অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে…
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই যে চিকিৎসা করাতে হয় এমন নয়। একমাত্র যখন ইউরিক অ্যাসিড থেকে…
পাড়ার রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিলেন বিধুবাবু। হঠাৎ পাড়ার কুকুর কালুর লেজে দিলেন পা! কালুর কী…
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী? হার্টের চারটি কুঠুরি বা চেম্বার থাকে। ওপরের দু’টি চেম্বার এবং নীচের দু’টি…
ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে আগে শরীরে কী কী সঙ্কেত আসে? ব্রেন স্ট্রোক কিন্তু একটা ভয়াবহ…
This website uses cookies.
Read More
Leave a Comment