- রোগ-ব্যাধি
- ডায়াবেটিস
- অন্যান্য
- কিডনির সমস্যা
- ক্যান্সার
- চর্মরোগ
- চোখের অসুখ
- দাঁতের সমস্যা
- নাক-কান-গলা
- পেটের অসুখ
- প্রবীণদের সমস্যা
- ব্যাথা-বেদনা
- মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সমস্যা
- মুত্রজনিত সমস্যা
- রক্তের অসুখ
- শ্বাসকষ্ট ও এলার্জি
- সর্দি-জ্বর
- হরমোনের সমস্যা
- হাড়ের সমস্যা
- হৃদরোগ
- যৌন রোগ
Health Conditions A-Z
রোগের লক্ষণ ও তার চিকিৎসা জানতে পড়ুন
- নারী স্বাস্থ্য
Woman Health
নারী স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা ও প্রতিকার
-
আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসকগণ |
লিখতে ভালোবাসেন? Join Us Now
-
আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসকগণ |
- শিশুর যত্ন
Child Care
শিশুর যত্ন নিতে পড়ুন
-
আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসকগণ |
লিখতে ভালোবাসেন? Join Us Now
-
আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসকগণ |
- মনের কথা
Mental Health
মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ
-
আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসকগণ |
লিখতে ভালোবাসেন? Join Us Now
-
আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসকগণ |
- রূপচর্চা
Beauty Tips
ত্বক এবং চুলের যত্ন নেবেন কি ভাবে? জানতে পড়ুন
-
আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসকগণ |
লিখতে ভালোবাসেন? Join Us Now
-
আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসকগণ |
- স্বাস্থ্য সংবাদ
- যোগাযোগ
- Login
- {avatar} Hi, {first_name}

নিকোটিনের বিষয়ে কম বেশি সবাই শুনেছে, এটা একটি হানিকারক রাসায়নিক পদার্থ যা তামাকে প্রস্তুত থাকে। নিকোটিনের প্রতি নির্ভরতার কারণ আসলে বলা যেতে পারে একপ্রকার নেশা যা একবার হয়ে গেলে ছাড়তে কষ্ট হয়। তামাকে থাকা নিকোটিন শরীরে গিয়ে মাথায় অদ্ভুত একধনরনের শান্তি প্রদান করে কিছুক্ষনের জন্য, ফলে এর প্রতি আসক্তি চলে আসে।
যে যত বেশি ধূমপান করে তার নিকোটিনের প্রতি আসক্তি ততই বাড়তে থাকে, ফলে একটা নির্দিষ্ট সময় তা ছাড়ার চেস্টা করলে বিভিন্ন মানসিক শারীরিক অস্বস্তি হতে দেখা যায়।
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে একদমই ভাল না, তাই তা ত্যাগ করাই উচিত। তবে সেক্ষেত্রে একটু সমস্যা হয় যেহেতু নিকোটিনের প্রতি আসক্তি থাকে তাই সহজে ধূমপান ছাড়া যায়না। তবে চেষ্টা করলে এবং ডাক্তারের পরামর্শে তা ত্যাগ করা সম্ভব।
লক্ষণগুলি কি কি হতে পারে
ধূমপান সহজে ছাড়া যায়না
ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করলেও সহজে ছাড়া যায়না কারণ নেশার মতো হয়ে যায়।
ধূমপান ছাড়তে গেলে সমস্যা
ধূমপান বন্ধ করতে চাইলে বিভিন্ন মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা দেখা যায় যেমন ঘন ঘন মুড পরিবর্তন, অবসাদ, রাগ, ধৈর্যহীনতা, অস্থিরতা, মনঃসংযোগে ঘাটতি, কনস্টিপেশন অথবা ডায়েরিয়া ইত্যাদি।
শারীরিক সমস্যায় থাকলেও ছাড়া যায়না
কোনোরকম শারীরিক সমস্যা যেমন হার্টের রোগ, ফুস্ফুসের রোগ থাকলেও ধূমপান একবারে ছেড়ে দেওয়া যায়না। নিকটিনের প্রতি আসক্তি থাকলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাকে উপেক্ষা করে ধূমপান করতে হয়।
সামাজিক ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরতি
নিকোটিনের প্রতি নির্ভরতা এতটাই হয়ে যায় যে ধূমপান থেকে নিষেধ স্থান গুলিতে যাওয়া বন্ধ করে দেয় অনেকে। যে জায়গাগুলিতে গেলে ধূমপান করা যাবেনা সে জায়গাগুলিতে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়াও একপ্রকার নিকোটিনের আসক্তির কারণ হয়ে থাকে।
নিকোটিনের প্রতি নির্ভরতার কারণ গুলি কি কি

নিকোটিন হল তামাকের মধ্যে থাকা এক রাসায়নিক যা নেশাগ্রস্ত করে তোলে। ধূমপানের একটি টান দেওয়া মাত্রই এই নিকোটিন মস্তিষ্কে পৌছে যায় এবং মস্তিষ্কের রাসায়নিক অর্থাৎ নিউরোমিটার মুক্ত করে যার ফলে মুড এবং মানসিক পরিস্থিতি কঠিন অবস্থাতেও নিয়ন্ত্রিত থাকে। এক কথায় বলা যায়, স্ট্রেস থেকে মুক্ত হওয়া যায় নিকোটিনের মাধ্যমে, ফলে এর প্রতি আসক্তি তৈরি হয়ে যায়।
ডোপামাইন হল একধরনের নিউরোমিটার যা মস্তিষ্কে মুক্ত হলে মানসিক শান্তি প্রদান করে এবং মুড ভাল রাখে।তাই যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক স্ট্রেস বা অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্ত করে এবং তাও খুব তাড়াতাড়ি, তাই এর প্রতি আসক্তি চলে আসে। সাধারণত ধূমপান বা নিকোটিন গ্রহণ করার নির্দিষ্ট সময় হয়না, তবে বেশ কিছু সময় এমন আছে যখন ধূমপানের নেশা সবচেয়ে বেশি ট্রিগার করে যেমন অফিস ব্রেক থাকলে, অনেকক্ষন ধরে একনাগারে ফোনে কথা বলার সময়, চা পান করার পর, মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ খাওয়ার সময়, গাড়ি চালানোকালীন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা গল্প করার সময়, খুব বেশি স্ট্রেস হলে ইত্যাদি। যদি এই নিকোটিনের প্রতি নির্ভরতা কমাতে হয় তাহলে সবার আগে জানতে হবে বিশেষ কোন সময়ে এটা বেশি ট্রিগার করে, তবেই এর থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় খুঁজে পাওয়া যাবে।
রিস্ক কি কি হতে পারে
যে কোনো বয়সেই নেশাগ্রস্ত হওয়া সম্ভব, তবে টিনেজার বয়স অর্থাৎ ১২ অথবা ১৩ বছর বয়স থেকেই থেকেই অনেকে ধূমপান করা শুরু করে দেয়, এবং ধীরে ধীরে এর প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।
ছোটরা মূলত সবকিছুই বড়দের থেকে দেখে দেখে রপ্ত করে। এক্ষেত্রেও অনেকসময় দেখা যায় বড়দের ধূমপান করতে দেখে তারা বড় হয়ে সিগারেটের নেশা করে থাকে।
অবসাদ এবং ধূমপানের মধ্যে একটি সম্পর্ক আছে, এমনটা বহু গবেষণায় দেখা গেছে। যারা অবসাদে ভোগেন বা যাদের পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার আছে তাদের ধূমপানের প্রতি আসক্তি থাকে কারণ ধূমপানের মাধ্যমে নিকোটিন মস্তিষ্কে গিয়ে তৎক্ষণাৎ এক শান্তি প্রদান করে ফলে চিন্তা এবং স্ট্রেস নিমেষের মধ্যে হালকা হয়ে যায়। এমনটা হওয়ার কারনেই অবসাদ যাদের থাকে তাদের নিকোটিনের প্রতি নির্ভরতা বেশি থাকে।
এছাড়া যারা মদ বা অন্যান্য নেশার জিনিস নিয়ে থাকে তাদের মধ্যে স্বভাবতই ধুমপানের প্রবনতা দেখা যায়।
কি কি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে
তামাকের মধ্যে প্রায় ৬০এর বেশি হানিকারক রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যার কারনে শরীরে ক্যান্সার বা অন্যান্য বিভিন্ন রোগের সঞ্চার হতে পারে।
ধূমপান ফুস্ফুসের ক্যান্সারের মুল কারণ। এছাড়াও ধূমপানের কারনে ক্যান্সার ছাড়াও ফুস্ফুসের নানা রকমের রোগ হতে পারে, যেমন ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বা এম্ফিসেমা ইত্যাদি। যাদের অ্যাস্থেমা আছে তারা ধূমপান করলে এই রোগ আরও খারাপের দিকে অগ্রসর হয়।
ধূমপানের ফলে ফুস্ফুসের ক্যান্সার ছাড়াও দাঁত ও মাড়ির ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার, খাদ্যনালি ও ল্যারিঙ্কস এর ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয় এবং সারভিক্স এর ক্যান্সার ও বিভিন্ন ধরনের লিউকেমিয়া ইত্যাদি হয়ে থাকে।
হার্টের সমস্যা বা কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিস যেমন হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় ধূমপানের কারনে। যাদের আগে থেকে হার্টের সমস্যা থাকে তাদের ধূমপান করার ফলে ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের ক্ষেত্রে ধূমপান শরীরে ইনসুলিন রেসিস্টেন্স বৃদ্ধি করে যার থেকে সমস্যা আরও বেড়ে যায় এবং কিডনি ও চোখের সমস্যা দেখা যায়।
ধূমপানের কারনে মহিলাদের মধ্যে বন্ধাত্ব্যের প্রবনতা বৃদ্ধি পায় এবং বিপরীত দিকে পুরুষত্বহীনতা দেখা যায়।
প্রেগন্যান্ট থাকাকালীন অনেকে ধূমপান করে থাকেন সেক্ষেত্রে ডেলিভারির সময় ঝুঁকির সম্ভবনা থাকে।
ধূমপানের ফলে রেস্পিরেটরি সমস্যা হতে দেখা যায় যেমন সর্দিকাশি, ফ্লু ইত্যাদি।
নিকোটিনের প্রতি নির্ভরতা প্রতিরোধ কিভাবে করা যেতে পারে
সবচেয়ে ভাল উপায় হল ধূমপান বা কোনরকম তামাক সেবন না করা। নিজে যদি তামাক সেবন থেকে বিরত থাকতে পারেন তবে ছোটদেরও এই সমস্যা গুলি থেকে বিরত রাখা যেতে পারে, কারণ তারা বড়দের থেকেই অভ্যাস রপ্ত করে।
ডাক্তারের কাছে কখন যাওয়া প্রয়োজন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের থেকে ধূমপান বন্ধ করা সম্ভব হয়না, তাই সেক্ষেত্রে একটা চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরন করা যেতে পারে। এই পদ্ধতি নিকোটিনের প্রতি যে আসক্তি আছে তা কাটিয়ে তুলতে পারে যদি শারীরিক সমস্যা এবং মানসিক সমস্যাগুলিকে সঠিকভাবে বুঝতে পারে। ওষুধ এর মাধ্যমে বা কাউন্সেলার এর সাথে যথাযথ কথোপকথনের মাধ্যমে এই নেশা থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
Hello, My self Bidisha Sarkar. I belong from Kolkata. I persued my graduation in journalism with mass communication. I’ve always been an avid reader which aid me to write different contents specially on health issues and their treatments and preventions. Therefore, everything I write about is geared towards things that I deeply care about. I try to influence my readers by giving effective health outcomes which are well-researched and socially accountable.
0
Recent Posts
আমাদের সাম্প্রতিক পোষ্ট গুলি দেখতে ক্লিক করুন
Cancer (ক্যান্সার)
ক্যান্সারের লক্ষণ ও তার চিকিৎসা