Search
Close this search box.

ফের-নজির-সৃষ্টি-এসএসকেএমের,-জটিল-হিপ-জয়েন্ট-ও-হাঁটু-প্রতিস্থাপনে-সুস্থ-৩৫-বছরের-মহিলা

Written by

Health and Wellness Blogger

ফের নজির সৃষ্টি এসএসকেএমের, জটিল হিপ জয়েন্ট ও হাঁটু প্রতিস্থাপনে সুস্থ ৩৫ বছরের মহিলা

ফের একবার জটিল অস্ত্রপচারে সাফল্য পেল রাজ্যের এক নম্বর সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম। হিপ জয়েন্ট ও হাঁটু প্রতিস্থাপন করে এসএসকেএম এর ডাক্তাররা সুস্থ করে তুললেন ৩৫ বছরের রোফেজা বিবিকে। ৩৫ বছরের রোফেজা বাতের সমস্যায় ভুগছিলেন ১২ বছর বয়স থেকে। মুর্শিদাবাদের খরগ্রামের বাসিন্দা রোফেজা বিবি এই সমস্যার জন্য গত দু’বছর ধরে হাঁটাচলা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একাধিক জায়গায় চিকিৎসা করেও মেলেনি সুফল।

অবশেষে তিনি ভর্তি হন এসএসকেএম হাসপাতালে। এরপর শারীরিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে রোফেজা বিবির বিভিন্ন জায়গায় জয়েন্টের হাড় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরপর চিকিৎসকরা জানান হিপ জয়েন্ট ও হাঁটু প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এরপর প্রথমে হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন হয় রোফেজা বিবির। এরপর ডান পায়ের হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়।

এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক অর্ণব কর্মকার জানিয়েছেন, “রোগীর বয়স যেহেতু ৩৫, তাই আমাদের এমন হাঁটুর যন্ত্রের দরকার ছিল যেটি বেশি দিন ঠিক থাকবে। যাতে ক্ষয় না হয়। তাই আমরা অক্সিনিনিয়াম হাঁটু ব্যবহার করেছি যাতে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।” এদিকে, অস্ত্রোপচারের পর রোফেজা বিবি বলেছেন, “এখনকার ডাক্তারবাবুরা ভগবান। আগের থেকে ভালো আছি। আশা করছি হাঁটতে পারবো আবার। সুস্থ হয়ে যাতে আবার শ্বশুর বাড়ি যেতে পারি এটাই একমাত্র চাওয়া।”

এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি, সরকারি হাসপাতালে এমন ঝুঁকিপূর্ণ সফল অস্ত্রোপচার রাজ্যবাসীর কাছে এক নজির তৈরি করবে। মানুষের আস্থা আমাদের দিকে অনেকটাই ফিরেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহুক্ষেত্রেই রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে রোগী এবং রোগীর পরিবারের মনে প্রশ্ন ওঠে হামেশাই। তবে, সেই ধ্যান-ধারণাকে ভেঙে দিয়ে শহরের এই সরকারি হাসপাতাল তার স্বাস্থ্য পরিষেবার মধ্যে দিয়ে যে তিলোত্তমাবাসীর মনে বিশেষ জায়গা করে নিল একথা বলাই বাহুল্য।

সাবস্ক্রাইব করুন

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন খবর, তথ্য এবং চিকিৎসকের মতামত আপনার মেইল বক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন.

Table of Contents

আমাদের সাম্প্রতিক পোষ্ট গুলি দেখতে ক্লিক করুন

আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসক