Search
Close this search box.

ঠিক যেন অগ্নীশ্বর! বাইক দুর্ঘটনার শিকার মহিলাকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন দুই চিকিৎসক

মা উড়ালপুলে বাইক দুর্ঘটনার শিকার এক মহিলা। উড়ালপুলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন ওই তরুণী। ঘটনাস্থলে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন দু’জন চিকিৎসক। দুই চিকিৎসকের তৎপরতায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল দুর্ঘটনাগ্রস্তকে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকাল সোওয়া দশটা নাগাদ।
জানা গিয়েছে, মা ফ্লাইওভার দিয়ে সায়েন্সসিটির দিকে যাচ্ছিলেন গাইনিকোলজিস্ট চিকিৎসক কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়। হঠাৎই তাঁর নজরে আসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক তরুণীকে পাঁজাকোলা করে রাস্তার ধারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গাড়ি থেকে নেমে যান।
জানা যায় ওই মহিলা ছিলেন বাইকের পিছনের সিটে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাইকের চালকও অল্পবিস্তর আহত। ডাঃ কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় দ্রুত সংজ্ঞাহীন তরুণীর পালস পরীক্ষা করেন। পালস না পাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাতেই মহিলাকে সিপিআর দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরেই ডাঃ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগ দেন আরও এক চিকিৎসক অশোক বর্মা। তিনি অ্যানাস্থেটিস্ট। দু’জন চিকিৎসক একযোগে রোগিণীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। অবশেষে পালস পাওয়া যায়। তরুণীও শ্বাস নিতে থাকেন।


তবে তখনও অ্যাম্বুলেন্স না আসার কারণে ডাঃ অশোক বর্মা নিজের গাড়ির পিছনের সিটে তরুণীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার মনস্থির করেন। ডাঃ মুখোপাধ্যায়ও ডাঃ বর্মার গাড়িতে উঠে পড়েন এবং হাসপাতাল যাওয়া পর্যন্ত একটানা তরুণীর শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে যান। দশ মিনিটের মধ্যে সল্টলেকের এক হাসপাতালে ওই তরুণীকে নিয়ে পৌঁছে যান দুই চিকিৎসক। ডাঃ কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় জানান ওই মহিলার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পরে অন্য এক হাসপাতালে মহিলাকে স্থানান্তরিতও করা হয়েছে। সেখানে রোগিণীর অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করে। তিনি প্রত্যেক ব্যক্তিকেই সিপিআর শিখে নেওয়ার আবেদনও করেছেন!

সাবস্ক্রাইব করুন

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন খবর, তথ্য এবং চিকিৎসকের মতামত আপনার মেইল বক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন.

Table of Contents

আমাদের সাম্প্রতিক পোষ্ট গুলি দেখতে ক্লিক করুন

আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসক